অনলাইন ডেস্ক: শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস খেলা করছিল। হঠাৎ খাটের নিচে ঢুকে যায় সে। এ সময় বেরিয়ে আসে একটি সাপের বাচ্চা। সে হাত দিয়ে সাপকে ধরে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করলে এটি মারা যায়। বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা দেখলে দ্রুত সাপসহ জান্নাতুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জান্নাতুলকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিন ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
শিশুটির মা বলেন, আমার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের বয়স ১৬ মাস। সকালে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ঘরের মধ্যে সে খেলছিল। এ সময় খাটের নিচে চলে গেলে একটি সাপের বাচ্চাকে ধরে কামড় দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। পরে সাপের বাচ্চাটির মারা যায়। আমার মেয়ে ও তার চাচাতো ভাইকেসহ সাপটি নিয়ে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যাই।
তিনি আরও বলেন, খাটের নিচে সাপের বাচ্চা থাকায় আমরা হতবাক হয়েছি। যদি আমার মেয়েকে কামড় দিত, তাহলে বড় কোনো ঘটনা ঘটতে পারত। আল্লাহ আমার মেয়েকে বাঁচিয়েছেন।
তবে কোন প্রজাতির সাপ এটি, তা চিহ্নিত করতে পারেননি তারা। প্রতিবেশীরা তাদের বলেছেন, এটা বিষধর সাপের বাচ্চা হতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন, মৃত সাপের একটি বাচ্চাসহ শিশু জান্নাতুলকে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে শিশু ওয়ার্ডে রেখেছি। তবে কী সাপ ছিল, সেটা চিহ্নিত করা যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, শিশুটিকে প্রায় তিন ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সাপটি শিশুকে দংশন করলে বিষক্রিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যেত। শিশুটি সুস্থ থাকায় বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হতে পারে শিশুটি সাপের শ্বাসনালিতে কামড় দিয়েছিল। এ কারণেই মৃত্যু হয়েছে। সাপের নাম চিহ্নিত করা যায়নি। তবে বিষধর সাপের বাচ্চা ছিল, এটা নিশ্চিত।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.